Wednesday, March 17, 2021

~নিজস্ব প্রতিবেদন, আহত দুই~

ভাবনা গুলো একান্ত দ্বিধান্বিত, তৃপ্তির পরিনতি ভীষণ ভারী
যেমনটি মনের সহিত মস্তিষ্কের যুগযুগান্তর চলমান আড়ি।

প্রিয়াহীনা নীলাভ দুঃখ গুলো স্বাধীন, নির্ধারিত প্রাপক কিংবা সম্মোধন বিহীন
অনেকটা মালিকানার আধিপত্যতার ব্যর্থতায় গোমড়ামুখে ভূমিহীন।

অমানিশায় হাত বাড়ালেই স্বস্তির মিত্রতার ইর্ষায় থমথমে অভিমানী
কাছে টানার দীর্ঘশ্বাসে একরাশ অপ্রাপ্তি উৎসর্গের নিরেট হাতছানি।

শব্দচয়নে কর্তৃকারক প্রিয়তে নামকরণে নিরলস চেষ্টায় লুটোপুটি
চাওয়া-পাওয়ার খতিয়ানে খসে পড়ার তীক্ষ্ণ কষ্টে দুর্ভাগ্যের এক কপোত-কপোতী।

প্রাকৃতিক গোলাপের কৃত্রিম ফুলদানিতে স্থানান্তরের নিরন্তর সখ্যতা বেমানান
কবির গগন সমান অনাদায়ী হিসাব মুচলেকা লিখেও কস্মিনকালে হবেনা প্রমাণ।

অপারগতায় বেদনা বিরাজ, প্রেম জ্বালায় উত্তাল সর্বাঙ্গে আহতের নালিশ
বেলাশেষে নিজস্ব প্রতিবেদনের বিশদ বিবরণে ভাঙনের সুপারিশ।

~০৭-০৩-২০২১

~বাবুমশাই অত প্রেম দিওনা~

আংশিক প্রেম দিও, ক্ষুদ্র সামান্যতেই পেট পুরে প্যান্টের বেল্টে স্বস্তি
সমুদ্র সমান প্রেমে কেবল জলাশয়ের বাইন মাছের কর্দমাক্ত আত্মপ্রতিকৃতি।

ক্ষুদ্রঋণ যথার্থ, জমির দলিল বন্ধক'এ একশো কোটি ঋণ গ্রহণে অস্বাচ্ছন্দ্য অযথা নিদ্রা বিলীন
সঞ্চয় করো গাঢ় প্রেম, নমিনির সাক্ষরে ডাকলেই কলমের কালিতে মিলবে বিচ্ছিরি লাইন সীমাহীন।

সন্নাসীর জীবদ্দশায় বসুন্ধরার তিন রুমের বসতবাড়িতে পথভ্রষ্ট হবে সাধন ভজন
অশনী প্রেম লাভা হিমাগারে নিক্ষেপে মিটবে না সংরক্ষিত ক্ষতের আসন।

আত্ম দ্বন্দ্বে পরাজিত হাজারো রজনীর প্রতীক্ষা, আত্মার রীতিনীতির প্রয়াসও বিমুখ
প্রখ্যাত ফার্মাসিউটিক্যালের নিপুণ ফর্মুলার প্যারাসিটামলে ঘুচবে না মনের খোঁড়া অসুখ।

অশ্রু ছুটি দিয়ে নিজ সমর্থনে খানিকটা মিথ্যে বলিও, শ্রেষ্ঠ পদে স্মৃতিচারণের মলাট বিচ্ছিন্নতায় প্রেমহীনতা হোক অভস্ত্য
বেলা অবেলায় অভিমানে আয়নায় নিজেকে ভালোবাসিও, নির্বাসিত কবির মতো তোমারও ভুল প্রেমে কেটে না যাক তিরিশ বসন্ত।

~২৫-০২-২০২১

~বাউনবাইরা আইয়া পইরো~

হুনছো মাইয়া? মেলা দূর থেইক্কাও বলে প্যাম-বালোবাসা অয়
হজ্ঞলে কইলো আত্বাডারে হেচকা মাইরা কাছে টাইনা আনলেই সই।

ভাইব্বা দেকলাম মিছা কয়নায়, হুদা শইল-চেহেরাডা ভাল্লাগতাসে এমনডা নাতো
মনডার পেডে বুগে তুমি একলাই মেলামাইন বাসুনে গরুর গোস্তো।

ইউটিউবে বালা এক্কান গান হুনলেই তোমারে লিংক পাডানোর লাইজ্ঞা কইলজাডা ইশপিশায়!
রবিন্দ্র সরোবরে পোলা-মাইয়ারা ভেটকাইয়া আত দইরা আটলেই এক্কেরে জ্বইল্লা চুপ অইয়া যাই।

থাইক্কো তুমি যেমুন নামেই পারো, শুক্কুর শনি বুইদ নাইলে বিশুদবারে
তোমার গলার সাউন্ড হুনলেই কেন জানি দুক্কু গুলা পক্ষি অইয়া উইরা মরে।

বেইন্নালাতে এলার্ম অইয়ো, দুফুরের রইদে এক গেলাস টেলকা লেম্বুর পানি
হাইনজালাতে বারি আইতে কইয়ো, রাইত অইলেই কমাইয়ো পরান পুড়ার আটকানি।

ঠেডা নাইলে বান-তুফানে আমারে শক্ত কইরা জরাই দইরো
মনডার বেরামে হারা জনমের লাইজ্ঞা বাউনবাইরা আইয়া পইরো।


*ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আঞ্চলিক ভাষায় লিখিত*
~২২-০২-২০২১

~বর্তমান বিয়োগ অতীত সমান ভবিষ্যৎ~

কাব্যিকতায় বলছি আঠারোশো চুরানব্বই রাত পূর্বের বিয়োগান্তক পুঁথিপাঠ কিংবা লোকগান,
সেদিন আমার সুখকর চারণভূমিতে নৃশংস হত্যাযজ্ঞের বিচার চেয়ে উচ্চ আদালতে হল জমাদান।

অভিযোগের জমাট বাধা ফাইলে ধুলোবালিতে আচ্ছন্ন দেখে ভাঙনে মত্ত পিছুটান
আলেয়ার বিয়োগে প্রাপ্য সুখের সঙ্কেতে ফেলে আসা অন্যায়-অবিচার সাময়িক ম্লান।

এক আক্ষেপের রাতে মরচে ধরা ডাকবাক্সে আকস্মিক ন্যায়বিচারের জানাজানি,
ডাকপিয়নের বার্তায় সংযুক্ত হল কর্মফলের মুল্যায়নে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের শুনানি।

উদযাপনের নিমিত্তে সংগ্রহে আতশবাজি_না! কোথাও কী যেনো তেতো।
সময়ের বিবর্তনে লুট হয়ে গেছে অধিকার
যে আমার না, তার ভোগান্তি পীড়ন গায়ে মাখানো স্রেফ যুগান্তকারী ক্ষত।

এককালীন নৈঃশব্দে শূন্যতার শস্য গোলা মৌসুমি ফসলের স্বস্তিতে পারাপার
থেমেছে রক্তক্ষরণ, ক্ষত মুছায় ব্যস্ত ভারপ্রাপ্ত এক নিখুঁত প্রসাধনীর ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর।

অতঃপর উদাসীন!
ভাবিনা, ভাবায় না, কিছু না, শান্তিচুক্তির ক্ষমায় বিরল প্রতিশোধের দৃষ্টান্তের সম্ভার
মধ্যম পুরুষের "তুমি" উচ্চাভিলাষে আজ স্থানচ্যুত থার্ড পার্সন সিংগুলার নাম্বার৷

~২০-০২-২০২১~